এই সেই নুনু মিয়া গল্প সবাই পড়বে আর মজা পাবেন


নুনু মিয়া নামের এক লোক উপজেলা নির্বাচনে ভাইস

চেয়ারম্যান পদে দাড়াইছে। পরদিন স্থানীয় পত্রিকার

শিরোনাম!

"নুনু খাড়াইছে!"

খবর দেখে নুনু মিয়ার মেজাজ গরম হইছে। তিনি

পত্রিকা অফিসে ফোন করে রাগী গলায় বকা ঝকা

করলেন। পরদিন পত্রিকার শিরোনাম এসেছে

"নুনু গরম হইছে!"

--

নুনু মিয়া ভোটে দাঁড়াইছে এই খবর এলাকার বড় এক

বয়স্ক নেতা জানেন না। মূলত তিনি একই দলের

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও রানিং ভাইস চেয়ারম্যান।

সাংবাদিকরা ওনার কাছে গিয়ে অনুভূতি জানতে গেলে

উনি বলেন "নুনু আবার কবে খাড়াইল? আমিতো টেরই

পেলাম না।"

--

এদিকে সেই উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান

পদে দাড়িয়েছেন এক মহিলা। তিনি নুনু মিয়ার ঘোর

বিরোধী। তিনি নারীদের নিয়ে নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে

মিছিল করলেন। নারীরা পত্রিকায় সাক্ষাতকার দিল। পরদিন

পত্রিকার শিরোনাম এসেছে!
"এলাকার নারীদের খুশী করতে পারেনি নুনু!"
--
"খবর দেখে এবার পত্রিকাওয়ালার বিরুদ্ধে সেই মহিলা
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ক্ষেপে গেছেন। তিনি
ও নুনু মিয়া একই দলের লোক। ওনাকে কেন্দ্র
থেকে বকা দিয়েছে। বকা খেয়ে তিনি পত্রিকায়
ফোন করে বলেন " এই সামান্য বিষয় নিয়েও
আপনারা শিরোনাম করেন!" ওনার সাথে আমার কোন
ব্যাক্তিগত ঝামেলা নেই। আপনারা আগামীকাল সঠিক
খবর প্রকাশ করুন। পরদিন পত্রিকার শিরোনাম এলো!
"মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুনুতে সন্তুষ্ট!"
--
বিষয়টা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের গোচরে
আসল। তারা ভাবলেন গ্রুপিং করার চেয়ে সেখানে
একজন মোটিভেশনাল স্পিকার পাঠানো দরকার যিনি
সবাইকে বোঝাবেন। কেন্দ্র থেকে
'সোনাইমাল' নামের এক মোটিভেশনাল স্পিকারকে
পাঠানো হল। যাকে আবার আদর করে লোকজন
'মাল' ডাকেন। সোনাইমাল সাহেব নুনু সাহেবকে
চিনতেন না। তিনি মোটিভেশান দেয়ার জন্য ঐ
উপজেলার এক হুডেলে গেলেন। এদিকে নুনু
সাহেবও ঐ হুডেলে ঢুকলেন। নুনু মিয়াকে
দেখেই সোনাইমালের মেজাজ গরম হয়ে গেল।
এই নুনু মিয়া একদিন তার এক পোস্টে কমেন্ট করছিল
"এত চিকনা পাছা দিয়া হাগেন কেমনে?" সেই থেকে

সোনাইমাল সাহেব এই লোককে খুজছে। কিন্তু নুনু
সাহেব সরকারি দলের লোক৷ তাকে ক্ষেপালে
ঝামেলা আছে। তিনি রাগ করে হুডেল থেকে
বেরিয়ে গেলেন। পরদিন পত্রিকার শিরোনাম
এলো!
"নুনু ঢোকার সাথে সাথেই মাল আউট"
--
এইবার নুনু মিয়া পড়লেন টেংশনে। কেন্দ্র থেকে
পাঠানো মোটিভেশনাল স্পিকার ফেরত গেছে।
কেন্দ্রের লোকজন ক্ষেপলে নমিনেশন
পাবে না। নমিনেশন প্রত্যাশী দলের আরেক
প্রার্থী সোনা মিয়া উচ্চ মহলে তদবির করছেন।
শোনা গেছে উনি এজন্য বেশ টাকা পয়সা খরচ
করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রের এক নেতা ফোন
করে বললেন "নমিনেশন তোমার ইয়ে দিয়ে
ভরে দিব"। দুঃখে নুনু মিয়া কয়েকদিন প্রচারণা বন্ধ
রাখলেন। শুধু শুধু টাকা নস্ট করার মানে হয় না।
একদিন পত্রিকার শিরোনাম এলো
"মাল আউটের পরে নিস্তেজ নুনু"
---
এদিকে নুনুর পক্ষে আসলেন আরেক বড় নেতা।
সবাই তাকে 'মাল' বলে ডাকেন। ওনার নামও মাল। নুনু মিয়া
এবার উজ্জীবিত হলেন। তিনি আবারও প্রচারণা শুরু
করলেন।
পত্রিকার শিরোনাম এলো!
'মালে পরিপূর্ণ নুনু সতেজ হয়ে গেছে!"
--
কিন্তু নুনু মিয়ার টেংশন এখনো দূর হয় নাই। কারণ তার
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সোনা মিয়া। পত্রিকায় প্রায়ই
খবর আসে!
"কে বড়? সোনা? নাকি নুনু?"
অবশেষে নুনু মিয়া সফল হলেন। মাল সাহেবের
প্রচেস্টায় তিনি নমিনেশন পেলেন। জেলা
পর্যায়ের নেতারা যারা এতদিন সোনা মিয়াকে গুরুত্ব
দিত তারা এখন সবাই নুনুর পক্ষে। পত্রিকায় শিরোনাম
এলো!
"নুনু এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী। সবাই নুনুতে
তেল মাখাচ্ছে!"

No comments

Powered by Blogger.